অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্যারামাটা ক্যাম্পাসে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আবক্ষ মূর্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি সরিয়ে ফেলেছে। এই মূর্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন অনুষদের সামনের উন্মুক্ত স্থানে ছিল। এই মূর্তি অপসারণকে বাংলাদেশীরা ফ্যাসিজম ও জুলুমের বিরুদ্ধে আর একটি বিজয় হিসেবে দেখছে।
বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী দমননীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থ এবং জনগণের সম্পদ ব্যবহার করে বাংলাদেশে যেমন শেখ মুজিবের হাজারো মূর্তি স্থাপন করেছিল, ঠিক তেমনি বিদেশেও বেশ কয়েকটি জায়গায় শেখ মুজিবের মূর্তি স্থাপন করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে এমনই একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির প্যারামাটা ক্যাম্পাসে। উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে আসেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মূর্তিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আওয়ামী রাজনীতির অনুসারী কিছু শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তারা কৌশল বুঝায় যে শেখ মুজিব বঙ্গোপসাগরের জলসীমা ও সামুদ্রিক আইন প্রণয়নের পথিকৃৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সীড মানি হিসেবে বিশাল অংকের টাকা প্রদান করে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পতনের পর, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিরা ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আপত্তি জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মূর্তিটি অপসারণ করে। বর্তমানে সেখানে মূর্তির কোন নিশানা নেয়।
খুলনা গেজেট/এনএম